পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪

শুনতে কি পাও: আমার দেখা একমাত্র ডকুফিকশন এবং জেন্ডার সংবেদনশীলতা



একনজরেশুনতে কি পাও 
পরিচালক: কামার আহমাদ সাইমন
প্রযোজক: সারা আফরীন

চিত্রনাট্যকার: কামার আহমাদ সাইমন
চিত্রগ্রাহক: কামার আহমাদ সাইমন
সম্পাদক: সৈকত শেখরেশ্বর রায়
বণ্টনকারী: ক্যাট ডক্স
মুক্তি: ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ (বাংলাদেশ)
দৈর্ঘ্য: ৯০ মিনিট

কাহিনীসংক্ষেপ:
২০০৯ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বিধ্বস্ত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার সুতারখালি গ্রাম তার বাসিন্দা একটি পরিবারের জীবনযাপনের ঘটনা নিয়েই শুনতে কি পাও দুর্যোগ উপদ্রুত উপকূলের মানুষের মানবেতর জীবনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকের করুণা দীর্ঘশ্বাস উদ্রেকের কোনো চেষ্টা ছবিতে নেই, বরং আছে দুর্যোগবিধ্বস্ত জনপদ বিষয়ে একটি বিকল্প বয়ান তৈরির উদ্যোগ পরিচালক জোর দিয়েছেন অসীম পরাক্রমশালী প্রকৃতির পাশে ক্ষুদ্র মানুষের সীমাহীন শক্তির ওপর আইলাবিধ্বস্ত ছবির মানুষগুলো যেন গ্রীক পুরাণের প্রমিথিউসের আগুন লাগা একেকজন আদিম মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে যৌথ উদ্যোগে তারা তৈরি করছে তাদের দ্বিতীয় প্রকৃতি দলবেঁধে ঘুরিয়ে দিচ্ছে নদীর গতিপথ, নিচ্ছে খাবার, বাসস্থান আশ্রয়ের মতো একেবারে আদিম চাহিদাগুলো পূরণের উদ্যোগ জীবনের শেষ সম্বল হারানো এই জনপদের মেয়েরা অতীত প্রেমের স্মৃতি নিয়ে আড্ডা দেয়, নতুন শাড়ি পরে; পুরুষেরা গান শোনে, আয়োজন করে খেলার প্রতিযোগিতা সমান্তরালে শুনি এক দম্পতির ব্যক্তিগত গল্পও, যাদের সদ্য গড়ে তোলা সংসার লন্ডভন্ড হয়ে গেছে আইলার আঘাতে সেই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পৌরাণিক পাখির মতো ফুঁড়ে উঠতে দেখি রাখী নামের মেয়েটিকে রাখী নিজে স্কুলে পড়ায় আবার স্বপ্ন দেখে কলেজে ভর্তি হবার ঋণ নিয়ে সংসারের প্রয়োজনগুলো মেটাবার চেষ্টা করে কিন্তু স্কুলে রাখী যে দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়, বাস্তবে দেশের কাছ থেকে তেমন কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে সবাই ভারতে যাবার কথাও ভাবে কিন্তু সৌমেন নিজের সবকিছু ছেড়ে যেতে রাজি হয় না এই বিষম বাস্তবতায় ন্যূনতম উপকরণ দিয়েই রাখী চমৎকার বজায় রাখে তার গৃহিণীপনা, সন্তানকে মায়ায় স্বামীকে দেখায় নতুন দিনের স্বপ্ন নিজের সংসার ছাপিয়ে দায়িত্ব নেয় বিধ্বস্ত  জনপদের শিশুদের শিক্ষারও ছবির আরেকটি ব্যতিক্রমী মাত্রা শিশুর চোখ দিয়ে দুর্যোগকে দেখার চেষ্টা এমন দুর্গত পরিস্থিতিতে শিশুরা কী করে উদ্যাপন করে তাদের শৈশব, ছবিটি তার খোঁজ দেয় আমাদের বিধ্বস্ত সেই গ্রামে হতদরিদ্র মানুষকে ত্রাণ দিতে উপস্থিত হয় রাষ্ট্রও কিন্তু প্রাকৃতিক দুযোর্গে সবাই যখন একাকার, তখন কে হতদরিদ্র আর কে নয় হারিকেনের আলো-আঁধারিতে চা-খানায় বসে গ্রামের মানুষ এই ধাঁধার জন্ম দেয় রিলিফের ভিড়ে বিরক্ত, পানির অভাবে তৃষ্ণার্ত দুর্গতদের ক্ষোভের আঁচটা পাওয়া যায় সন্ধ্যার চায়ের আড্ডায় আমরা দেখি, এই চরম বিপর্যয়ের মধ্যে দাঁড়িয়েও ভাঙা স্কুলঘরে শিশুরা উচ্চ স্বরে পাঠ নেয় রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের দায়িত্ব, তারা দেশপ্রেমের গান গায় একটা চাপা বেদনা কৌতুক মিশে থাকে এসব দৃশ্যে

পুরষ্কার সম্মাননা
  •  ২০১৩ সালের এপ্রিলে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউরোপের অন্যতম প্রামাণ্যচিত্র উৎসব সিনেমা দ্যু রিলের ৩৫তম আসরে সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁপি
  • ফিল্ম সাউথ এশিয়ার-এওয়ার্ড’, ২০১২ তে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রামাণ্য উৎসব ডক-লাইপজিগের (জার্মানী) ৫৫তম আসরের উদ্বোধনী-ছবি এবং বিশ্বের বৃহত্তম প্রামাণ্য উৎসব ইডফার (নেদারল্যান্ডস্) ২৫তম আসরে আনুষ্ঠানিক ছবির আমন্ত্রণ
  • এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন মর্যাদাপূর্ণ মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (মিফ)- শ্রেষ্ঠ সর্বোচ্চ পুরষ্কারস্বর্ণশঙ্খ’ (গোল্ডেন কঞ
  • ছয়টি উৎসবে আমন্ত্রণ: উৎসবগুলো হলো জাপানেরইয়ামাগাতার’ (১০-১৭ অক্টোবর), অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসবঅ্যান্টেনা’ (- অক্টোবর), যুক্তরাজ্যেরটেক ওয়ান অ্যাকশন’ (২৭ সেপ্টেম্বর-১২ অক্টোবর), তুরস্কের২০তম গোল্ডেন বোল চলচ্চিত্র উৎসব’ (১৬-২২ সেপ্টেম্বর), কসোভোরপ্রি-ফিল্ম ফেস্ট’ (২০-২৮ সেপ্টেম্বর) উপমহাদেশের অন্যতম প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবফিল্ম সাউথ এশিয়া’ (- অক্টোবর)
জেন্ডার সংবেদনশীলতা-অসংবেদনশীলতা:

সংবেদনশীলতা:
দুর্যোগপ্রবণ অবস্থায় নারী-পুরুষের দুরাবস্থা:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা প্রলয় নারী-পুরুষ বোঝে না কারণেই দেখা যায়, পুরুষ-নারী উভয়ই প্রাকৃতিক শক্তির কাছে হার মেনে নিজের নির্মম ভাগ্যকে মেনে নিচ্ছে ধনী-গরীব সবাই এককাতারে সবাই তাদের স্বীয় ঠিকানা হারিয়ে দূরে আশ্রয় গ্রহণ করেছে পানি আনতে গিয়ে বিশাল এক লাইন দেখা যায় যারা পানি পায়না তাদের বলতে শোনা যায়, বিষ কিনে দাও, বিষ খেয়ে মরে যাই সৌমেন যখন পরিবারের জন্য খাবার আনতে যায়, তখন দেখা যায়, পুরুষরা নারীদেও লাইন ভেঙ্গে সেদিক দিয়ে গিয়ে খাবার আনতে যায় কিন্তু যতই দুর্যোগগ্রস্ত হোক না কেন, সেখানকার নারী-পুরুষের আলাদা থাকার ব্যাপারটা চোখে পড়ার মতো প্রথাগত জেন্ডার মিকার কোন পরিবর্তন ঘটে না যত কিছ হোক না কেন সৌমেন লাইন করার সময় রিলিফ নেয়ার সময় এক নারী বলে ওঠেমাইয়ালোকের বার (লাইন) দিয়া আইস না
 
নারী-পুরুষের সমঅংশগ্রহণ:
নারী-পুরুষ উভয়কে বাঁধের কাজে সমানভাবে কাজ করতে দেখা যায় আর ঘর-গৃহস্থালীর কাজ তো রয়েছেই গ্রামের মেম্বারদের সাথে আলোচনায় এক নারীকেও দেখা যায় যদিও সে কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে না তারপরও অংশগ্রহণ কিছুটা হলেও দেখা গেছে সেই নারীকে আমরা ভোটাধিকারের ব্যাপারেও কথা বলতে শুনি

অসংবেদনশীলতা

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ:
সৌমেনসহ বাকি পুরুষদের বাইরে কাজ করতে দেখা যায় ঘর-গৃহস্থালির কাজ তারা তেমন একটা করে না অন্যদিকে মেয়েরা ঘরে বাইরে সমানভাবে কাজ করে মেয়েদেও দেখা যায় লম্বা লাইন ধরে পানি আনে, রান্না করে, বাচ্চার দেখাশোনা করে আবার মাছ ধরে এমনকি মেয়েদেও বাঁধে কাজ করতেও দেখা যায় এত কিছুর পরও পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর মিকায় পুরুষকেই দেখা যায় রাখী শিক্ষিত এবং গ্রামের স্কুলে পাঠদানের কাজ করে একই সাথে ঘরে বাইরে সমান অবদান রাখার পরও সৌমেন ঘরে আসলে রাখিকেও যাবতীয় ফুট-ফরমাশ খাটতে দেখা যায় সে বলেসাবান এনে দাও”, “তরকারি কি একটাই রেঁধেছ নাকি?” অর্থাৎ নারীর চিরাচরিত জেন্ডার ভূমিকার সাথে সাথে তাকে ঘরের বাইওে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে পুরুষদের তুলনায় বেশি কাজ করলেও দেখা যায়, পুরুষই আদতে পরিবারের নিয়ন্ত্রক হচ্ছে

নারী শিশুর সম্পর্ক
 দেখা যায়, পরিবারের পুরুষ বা আয় করা সদস্যরা শিশুদের লালন পালনে তেমন একটা মিকা রাখছে না শিশুকে লালন-পালন, পড়াশোনা করানোর কাজ সব নারীরাই করছে মা রাখীর সাথে বছরের শিশু রাহুলকে বেশি সময় কাটাতে দেখা যায় সৌমেন যখন ঘরে থাকে না, তখন রাখীর একমাত্র সঙ্গী হয় রাহুল বাবা সৌমেনের সাথে রাহুলের সম্পর্ক মায়ের মতো ঘনিষ্ঠ নয়
নারীর মতামত অগ্রাহ্য করা:
সৌমেন রাখীর মতামতকে গুরুত্ব দেয় না রাখী এলাকার অন্যান্যদের থেকে একটু আলাদা কিছুটা পড়াশোনা জানে, গান জানে কিন্তু স্বামী সৌমেনের কাছে এসব ব্যাপার উপেক্ষিত রাখীর মতামতকে সৌমেন গুরুত্ব দিতে চায় না বার বার তাকে মাতব্বর বলে সৌমেন মোবাইলে কথা বলা রাখির কাছে অনেক শখের বিষয় বারবার সৌমেনের মোবাইলে কথা বলতে গেলে সৌমেন রাগ দেখায় নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা লক্ষ্য করা যায়
সৌমেন বলে: “মোবাইল করতি গেলে মোবাইল করতে চাওয়া মাতব্বরী অর্থাৎ সৌমেনের কাছে মোবাইল কেবল পুরুষরাই ব্যবহার করে কিন্তু সে যে মোবাইল ব্যবহার করছে তা রাখীরই মোবাইলের মাধ্যমে প্রতীকি অর্থে বোঝানো হচ্ছে স্বামী চাইলেই স্ত্রীর সম্পত্তিতে অধিকার রাখে কিন্তু স্ত্রী রাখে না পরে রাখীকে দেখা যায়, জমানো টাকা দিয়ে আরেকটি ফোন কিনতে নিয়ে কথা শোনাতেও ছাড়ে না সৌমেন তাকে কোটিপতির কইন্যা বলে অভিহিত করে সৌমেন রাখীকে অভিযোগ জানায়, মাথার যন্ত্রণায় মরি যাই, ওষুধ আনি দিতে পারো নি থেকে বোঝা যায়, রাখীর অনেক মৌলিক চাহিদাই সৌমেন মেটাতে পারে না এমনকি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পরও তাকে সৌমেনের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে শুধু তাই নয়, নিজের টাকা কিভাবে খরচ করবে সেই জবাবদিহিতাও করতে হচ্ছে সৌমেনের কাছে বাঁধ হওয়ার পর নতুন ঘর বাঁধে সৌমেন রাখী সেখানেও রাখীর মতামত অগ্রাহ্য করতে দেখা যায় সৌমেনকে রাখি তাকে আগে রান্নাঘর খুলতে নিষেধ করলে সে বলে, “যা পারো তাই করো গে তারপর - বলেবিল্ডিং দিও নে তুমি অর্থাৎ সৌমেন সবসময় রাখীকে ছোট করে দেখার মানসিকতা পোষণ করে
 
নারীরা গল্পপ্রিয়, পুরুষরা কর্মঠ:

দেখা যায়, পুরুষরা যেখানে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে চিন্তিত, রিলিফ কিংবা নতুন বাড়িঘর নিয়ে চিন্তিত সেখানে নারীদের দেখা যায়, অবসর সময়ে লুডু খেলতে রাখীকেও গল্প করতে দেখা যায় তাদেও গল্পের বিষয় বিয়ের পূর্বের প্রেম বা বিয়ের পওে স্বামীর সোহাগ -ির বাইরে তাদের কোন গল্পই নেই রাখীকে নিজের শখের জন্য টাকা খরচ করতে দেখা যায়- মোবাইল কিংবা আয়না কিনতে গেলে এর প্রমাণ পাওয়া যায় অর্থাৎ নারীরা চরম দারিদ্র্যেও মধ্যেও স্বার্থপরের মতো নিজের ভোগের কথা চিন্তা করে
 
শরীর প্রদর্শন:
তথাকথিত বাণিজ্যিক ধারার বাইরে হলেও এই চলচ্চিত্রেও মেল গেজ থিওরি সমান কার্যকর কারণ ক্যামেরার পেছনের চোখ একজন পুরুষের কারণেই আমরা হয়তো রাখীর বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্য দেখি ব্যালেন্স আনার জন্য পরিচালক বেশ কয়েকবার সৌমেনের অর্ধ-নগ্ন শরীরও দেখি

নারীদের শ্রম মূল্যহীন
বাঁধে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করলেও দেখা যায়, কাজ যখন প্রায় শেষ তখন মেম্বার বলে, “ যারা যাতি চায়, তারা যাবে মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের নিয়োগ নেই তারা যাবে না অর্থাৎ কর্মী ছাঁটাইয়ের শুরুতেই নারী শ্রমিকদের বাদ দেয়ার জন্য চিন্তা করা হয়
নেপথ্য কণ্ঠে পুরুষ:
জোরালো নেপথ্য কণ্ঠ হিসেবে পুরুষকে ব্যবহার করা হয়েছে


সংলাপে অসংবেদনশীলতা:
রাখী যখন মোবাইল কিনতে যায়, তখন এক দোকানী আরেক দোকানীকে বলেএই মালটা একটু খোল এখানে মাল বলতে মোবাইলকে বোঝানো হচ্ছে কিন্তু কিছুটা অসংবেদী ভাষাও ব্যবহার করা হচ্ছে
লুডু খেলার সময় কোন একটা টার্ম হিসেবে বলেবউয়ের লোভ আবার বলে চারজনে গা গরম হবে অন্য নারীদের সাথে গল্প করতে গেলে রাখীও অশালীন কথা বলে নূপুর নামে এক নারী যখন বলেঝগড়া হলি প্রেম বাড়েতখন রাখী বলেবাল না বোকাচুদা পাইয়েছ ......... ড্যামনার দল এমনকি নূপুরকে বলেনূপুর অন্তত সেঞ্চুরি করিছে কয়েক ছাওয়ালের সাথে আদান-প্রদান করিছেএমনকি রাখীকে কিছটা অহংকার প্রকাশ করতেও দেখা যায়, “যার সাথে করেছি তাকেই বিয়ে করেছি, ৫টার সাথে করে একটাকে বিয়ে করি নি তো অর্থাৎ একাধিক পুরুষের সাথে প্রেম তাদের কাছে মন্দকাজ হিসেবে ধরা দিচ্ছে
আরেক নারী বলে, “তুমি পাছা দিয়েছ আমার দিকে, পাঙা দিলে আমার দিকে বড় পাছাটা সরাও দিকিএভাবে এক নারী আরেক নারীর সাথে মজা করে
বাঁধের কাজে যাওয়ার সময় দুইজন লোকের কথোপকথন:
হাঁতুর এনেছ
-              না আনি নি, হারিয়ে ফেলেছি
তখন আরেকজন বলে ওঠে, “এরা একসময় বৌকেও হারিয়ে ফেলবে
এখানে নিজের স্ত্রীকে বস্তুর সাথে তুলনা করতেও তারা ছাড়ে নি
 
গানে অসংবেদনশীলতা:
বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রের মতো অনেক গান না থাকলে দু-একটি গান রয়েছে এর মধ্যেনিশি হলো ভোর, বাসনা ভ্রমরগানটির কথা বেশ অসংবেদনশীল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন