I am the master of my fate,
I
am the captain of my soul.
দেখলাম বস মরগ্যান ফ্রিম্যান, তারপর দেখি ম্যাট ডেমন। সিনেমা দেখা শেষে দেখলাম এটা ক্লিন্ট ইস্টউডের সিনেমা। অদ্ভুত। এত বিখ্যাত এক ফ্রেমে থাকলে কেমনে কি। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার আইএমডিবিতে রেটিং ৭.৪। কম হয়ে গেল!!!!!!!!!!!
অ্যাপার্থিড বা বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট হবার প্রথম মেয়াদে ম্যান্ডেলা যে অসাধারণ নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা আসলেই অনন্য। একদিকে দেশনেতা হিসেবে ম্যান্ডেলা রূপী মরগ্যানের ছোট ছোট পদক্ষেপ, আর অন্যদিকে স্প্রিংবুক রাগবি দলের অধিনায়ক হিসেবে ফ্রাসোয়া পিনার রূপী ম্যাট ডেমনের দলকে উজ্জীবিত করার কৌশল। একদিকে সাদা মানুষ আর একদিকে কালো মানুষ। দুজনই শীর্ষ পদে। একজনের হাতে দেশ রক্ষা আর আরেকজনের হাতে পিছিয়ে পড়ে দলকে শিরোপা জেতানোর লড়াই। দুটি গল্প চলেছে সমান্তরালে।

রাগবি নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি অন্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ আর নিজ দেশের সাদা-কালোদের এক করার চিন্তা এ দুয়ে মিলে ম্যান্ডেলার মনস্তত্ত্ব। ম্যান্ডেলা রোবেন আইল্যান্ডে যে সেলে বন্দী ছিলেন সেখানে গিয়ে ফ্রাঁসোয়া’র অনুভূতি। মাঝে মাঝেই ম্যান্ডেলাকে অনুভব করা অসাধারণ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ার্ল্ড রাগবি’র ফাইনাল ম্যাচের আগে ফ্রাসোয়া বলছেন- ৩০ বছর যারা তাকে আটকে রেখেছে, কীভাবে তাদের ক্ষমা করলেন।
ম্যান্ডেলা নিজের নিরাপত্তাবাহিনীতেও নিয়োগ দিয়েছেন সাদা-কালো উভয়পক্ষকেই। ম্যান্ডেলার এই প্রক্রিয়া তখনই সফল হয় যখন দেখা যায়, রাগবি ট্রফি ধরে আছে একটি সাদা হাত আর একটি কালো হাত।