পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

সাদাকালো অ্যানিমেশন ফ্যাঙ্কেনউইনি

Frankenweenie (2012)
Directed By: Tim Burton
IMDb Rating- 7/10

বোল্টের পর পোষা কুকুরকে নিয়ে করা এই ছবিটি দেখে দারুণ মজা পেলাম 
ছবির কাহিনী এগুতে থাকে স্কুলে পড়া এক ছেলে ভিক্টরকে নিয়েসে তার পোষা কুকুর স্পার্কিকে ফিরিয়ে আনতে একটি এক্সপিরিমেন্ট চালায়, সে সফল হলেও এ নিয়ে ঘটতে থাকে নানা দুর্ঘটনা Edward Scissorhands খ্যাত প্রযোজক টিম বার্টনের এনিমেশন মুভি এটিভালোই লেগেছে অ্যানিমেশন টি দেখেসাদা কালো দেখে কিছুটা ভ্রুকুটি করলেও পরে মজাই লাগে 

ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন নিজের বয়সী বাচ্চাদের থেকে একটু আলাদা, বিজ্ঞান আর চলচ্চিত্র নির্মাণ তার খুবই পছন্দের বিষয়, বন্ধুবান্ধব তার নেই বললেই চলেএকারণে ভিক্টরের বাবা ছেলেকে নিয়ে যান বেসবল খেলতেবল কুড়িয়ে আনতে গিয়ে মারা যায় ভিক্টরের কুকুর স্পার্কিস্কুলের নতুন বিজ্ঞান শিক্ষক মিস্টার রজকোভস্কির ইফেক্ট অব ইলেকট্রিসিটি অন ফ্রগএর আলোচনা শুনে উজ্জীবিত হয় ভিক্টরনিয়ে আসে স্পার্কির মৃতদেহআর তাকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ভিক্টর তাকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও একসময় সবাই স্পার্কির অস্তিত্ব টের পায়এ সুযোগ কাজে লাগায় ভিক্টরের ক্লাসমেট এডগারএডগারের ব্ল্যাক মেইলিংয়ের কারণে একটি মৃত গোল্ডফিশকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে ভিক্টরতবে স্পার্কির মতো তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে নামাছ থেকে যায় অদৃশ্যএডগারের দেখাদেখি অন্যরাও মারাত্মক সব প্রজেক্ট বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে বব ও তোশিয়াকিঅভিভাবকদের চাপের মুখে স্কুল ছাড়তে হয় রজকোভস্কিকে 

একসময় এডগারই ফাঁস করে দেয় স্পার্কির কথাএদিকে স্পার্কিকে ভূত ভেবে ভয় পায় ভিক্টরের মা-বাবা, স্পার্কি পালিয়ে যায় আর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন পরিবার তাকে খুঁজতে বের হয়ঠিক তখনই বব, তোশিয়াকি, ন্যাসর এবং উইয়ার্ড গার্ল এডগারের সাথে ভিক্টরের বাড়িতে গিয়ে জেনে নেয় ভিক্টরের ফর্মুলাতোশিয়াকি-ন্যাসর নিজেদের পোষা প্রাণীদের মৃতদেহ নিয়ে আসে, বব নিয়ে আসে ইঁদুর আর উইয়ার্ড গার্লের বিড়াল ধরে আনে বাদুড়কিন্তু তাদের সবার পরীক্ষাই ব্যর্থ হয়বরং মৃত প্রাণীগুলো ভয়ংকর রূপ ধারণ করেসেদিন সন্ধ্যায় চলছিল ডাচ ডের মেলা, সেখানেই আক্রমণ করে প্রাণীগুলোস্পার্কিকে প্রাণীদের কবরস্থানে খুঁজে পায় ভিক্টরআর সেখানেই তাকে দেখে বব আর তোশিয়াকি সব কিছু জানায়ডাচ ডে মেলায় গিয়ে মনস্টার বা দৈত্যদের ধ্বংস করে ভিক্টরতবে উইয়ার্ড গার্লের বিড়াল যে বাদুড়-বিড়ালের মিশেলে দৈত্যাকৃতি ধারণ করেছে, ভিক্টরের বান্ধবী এলসার বিড়ালকে নিয়ে যায়, এলসাও তার পেছনে যায়আটকে পড়ে এক বায়ুকলেভিক্টর বাঁচাতে যায় তাকেএদিকে স্পার্কিকে দেখে সবাই ভূত ভেবে তাকে আক্রমণ করতে ছুটে যায়স্পার্কি দৌড়াতে দৌড়াতে সেই বায়ুকলে যায়এলসার আঙ্কেলের হাতে থাকা মশাল থেকে সেখানে আগুন লেগে যায়আটকে পড়ে ভিক্টর ও এলসাএলসাকে বাঁচালেও ভিক্টর থেকে যায় ভেতরেস্পার্কি বাঁচায় ভিক্টরকেতখনই সেই দৈত্যাকৃতির বাদুড়-বিড়াল আক্রমণ করে স্পার্কিকে, আগুনের মধ্যে নিয়ে যায়অবশেষে মৃত স্পার্কিকে উদ্ধার করে আনা হয়তারপর গাড়ির ইঞ্জিনের সহায়তায় পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে স্পার্কিকে জীবিত করার চেষ্টা করে ভিক্টরএকসময় স্পার্কি বেঁচে ওঠে এভাবেই শেষ হয় ফ্রাঙ্কেনহুইনির কাহিনী
বারটন এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন, মাম্মি, ড্রাকুলার মতো সাইফাই আর হরর চরিত্রগুলোকে। গল্প বলার ধরণ আর চরিত্রগুলোর মিশ্রণ ছিলো অসাধারণ। তবে কোন কোন সময় খেই হারিয়ে ফেলেছে ফ্রাঙ্কেনহুইনি। চলচ্চিত্রটি ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট হওয়ায় দেথতে একটু কষ্ট হতে পারেহেরর ফিল্মের মুড আনার জন্যই এটি করা হয়েছে বলে জানা গেছেতবে কাহিনী আরেকটু ভালোভাবে বলা যেত একে যদি কমেডি হিসেবে বলা হয় তবে তা খুব বেশি ভালো হয়েছে বলা যায় না। তবে নিজের ছেলেবেলায় ঘুরে আসতে চাইলে দেখে নিতে পারেন চলচ্চিত্রটি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন